Header Ads Widget

উদ্যোক্তাদের স্বাদের রান্নার গল্পে মুগ্ধ পর্যটক

  


টকটকক্সবাজারের সাগরপাড়ে ঢেউয়ের সুরে মিশে গেল নারীর সৃজনশীলতা, স্বপ্ন ও সাগরের সুবাস। “সাগরের স্বাদ – দ্য সি-ফুড ফেস্টিভ্যাল” পরিণত হয়েছে এক প্রাণবন্ত মিলনমেলায়, যেখানে স্থানীয় নারীরা তাঁদের হাতের জাদুতে সাগরের গল্প তুলে ধরেছেন অসাধারণ সামুদ্রিক খাবারের মাধ্যমে।

৭ নভেম্বর দিনব্যাপী উৎসবটি আয়োজন করেছে নেক্সশিখন ও এমবোল্ডেন বাংলাদেশ, সহযোগিতায় এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।আতিথেয়তা ও সার্বিক সহায়তায় ছিল হোটেল রামাদা বাই উইন্ডহ্যাম, কক্সবাজার।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সদরের ইউএন শারমিন সুলতানা।বিশেষ অতিথি ছিলেন উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জাহানারা ইসলাম।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নেক্সশিখনের নির্বাহী পরিচালক তামন্না নওরিন আজম, এমবোল্ডেন বাংলাদেশের উপদেষ্টা হাসনা হুরাইন এবং হোটেল রামাদা বাই উইন্ডহ্যামের জেনারেল ম্যানেজার শেভান গুনরোতনে।এই উৎসবে অংশ নেন ১৫ জন স্থানীয় নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা, যারা সাগরের উপহার দিয়ে তৈরি করেছেন নানা রকম খাবারের অনবদ্য আয়োজন।নারী উদ্যোক্তাদের পরিবেশিত সি-ফুড আইটেম অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকের মন জয় করে নেয়।

এতে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা হলেন:

১. টিন টিন সি-উইড ফুড কর্নার – মা টিন টিন

২. ফালং জি – মে সিন নু

৩. তাহিরা’স কিচেন – তানিমা কবির

৪. পিকল অ্যান্ড ফুড – তাবাসসুম নওরিন আজম

৫. ম্যাকারেল – রিনা আখতার

৬. আফশারা’স ফুড ডেইরি – সালিনা আখতার

৭. বিন্নি – উম্মে লুতফা হুমায়রা

৮. মিহা’স কিচেন – মিহাতুল বকেয়া মিম

৯. ফ্রেশ ফিশ অ্যান্ড ক্র্যাব – রাফিয়া ইয়াসমিন রুম্পা

১০. মুনা’স হাসেল – মুনা চৌধুরী

১১. আইরিন’স ক্ল্যাসি কিচেন – সামিনা আফরিন আইরিন

১২. অ্যাম্বার লোফ ক্যাফে অ্যান্ড বেকহাউস – শরওয়ার বিন রফিক

১৩. ফাতেমা’স কুকিং – ফাতেমা ইসলাম

১৪. দোরিয়া রেস্টুরেন্ট – তোফাজ্জল হোসেন

১৫. ব্যাম্বো হাব- মেমোরি চাকমা

এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের টিম লিডার মো. ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া বলেন, উদ্যোক্তাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে কেউ এগিয়ে আসে না। এ সমস্ত প্রোগ্রামের মাধ্যমে নারীদেরকে স্বাবলম্বী এবং দেশের সম্পদের পরিণত করতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। তাদের মাধ্যমে মার্কেট ডেভেলপমেন্ট সিস্টেম এনশিওর করতে চায় এনরুট।এনরুট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ও আইএলও এর সহযোগিতায় সি-ফুড ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে পেরে উদ্যোক্তারা সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে, প্রান্তিক এলাকা থেকে যে সমস্ত উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছে তারা এটি জীবনের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি এবং সৌভাগ্য বলে জানিয়েছে।


Post a Comment

0 Comments