মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
বাংলাদেশের ইতিহাস বই সমুহ কমবেশী সকলেই পড়ার চেষ্টা করে।ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু হওয়ার পর থেকে সব কিছু দিবালোকের মত স্পষ্ট। কোনটি ভালো কোনটি মিথ্যা তা সহজেই প্রতীয়মান হয়ে যায়।তা ছাড়া সত্য সমাগত মিথ্যা নিগৃহীত।এ দেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি,জাতীয় পার্টি সবাই ক্ষমতার মসনদে আসীন ছিলেন।কারা কি ভাবে দেশ চালিয়েছে তা ৫০ বয়সের সবাই অবগত।স্বাধীনতার সময় যাদের বয়স ২০ বছর তাদের বয়স আজ কমপক্ষে ৭৫ বছর।এ বয়সের মানুষ হয়তো ২থেকে আড়াই কোটি।তসবি হাতে আল্লাহ আল্লাহ জিকিরে ব্যস্ত।শেষ বয়সে তারা আর ভুল করবেনা।বর্তমান যাদের বয়স ১থেকে ৩০ তাবা এ নির্বাচনের জন্য বড় একটা মাথা ব্যথা।অঘটন বলি আর দূর্ঘটনা বলি এ বয়সের ভোটাররা ঘটাবেন।যাদের হাতে স্বৈরাচারের পতন।যাদের ভয়ে হাসিনা সরকার ভারত পালিয়ে গেছে।এ বয়সের ভোটারগণ বিএনপি দুশাসন হাসিনার গুম,খুন,রির্জাভ ডাকাতি,শেয়ার বাজার ডাকাতি,উন্নয়নের নামে লোটপাট,বিরোধী দলকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি,আয়না ঘরের নির্যাতন সহ মিথ্যা অপবাদে জামায়াতে সর্বোচ্ছ নেতাদের ফাঁসি বিশেষ করে মৌলানা দেলোয়ার হোসাইন সাইদিকে পরিকল্পিত ভাবে খন করে এ জাতির কাছে ঘৃণিত হয়েছে।২৪শে জুলাই বিপ্লবে এ বয়সের ভোটাররাই নিজেদের জান বাজি রেখে রাজপথ দখল নিয়ে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেন।বিএনপি, জাতীয় পাটি,আওয়ামী লীগ সব দলই নিজদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে।জনগনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।এ ক্ষেত্রে এবার সর্বস্থরের জনগন জামায়াতকে চিন্তা করেছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার।যার প্রভাব ও লক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বুঝতে পারছি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে শিবির জয় লাভ করার পর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরকে পরাজিত করার জন্য কত প্লান,জোট,পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। কিন্তু সফল হতে পারেনি।কারণ সব দলের কর্ম কান্ড, কর্মসুচি তারা দেখেছেন।শুধু ছাত্ররা না এদেশে আবাল বৃদ্ধা বনিতা,যুবক,মেহনতি খেটে খাওয়া মানুষ, চাকরিজীবি,ব্যবসায়ি, শ্রমিক,মজুর,কৃষক,কামার, কুমার তাতী,হিন্দু বৌদ্ধ, খৃষ্টান সকলেই শিবির এবং জামায়াতের হাতেই নিরাপদ।তারা মনে করেন পুরো দেশটায় জামায়াত ইসলামি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কাছেই নিরাপদ।এ জন্য বিএনপি সহ অন্যান্য বামও রামভক্ত অনেকে জামায়াত ও শিবি্রে বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক রামছাগল পেইজবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে ২০০ ব্যালট আগে সিল মারা ছিল,বয়কট নির্বাচন ইত্যাদি। তাই আগামী নির্বাচন ফ্রী এবং ফেয়ার হলে সাধারণ মানুষ ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে জামায়াত কে বেচে নিবে বলে সচেতন মহল মন্তব্য করছে।জামায়াতের বিরুদ্ধে যত লেখালেখি ও মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হোক না কেন লাভ তাদেরই হচ্ছে।বদনামে বদনামে আল্লাহ জামায়াতের প্রচার করাচ্ছেন।সারা বিশ্বে একই আওয়াজ যা করে আল্লায় ভোট দিব দাঁড়ি পাল্লায়।বাঘা বাঘা রাষ্ট্রের কুটনৈতিকরা জামায়াতের দরবারে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছে।মানুষ এবার ভুল করেও নিজেদের অধিকার রক্ষা ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই

0 Comments